ক. সঠিক উত্তর নির্বাচনঃ-
০১> নিম্নলিখিত গ্রন্থিগুলির ভিতর কোনটি থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়?
১. থাইয়েডগ্রন্থি, ২. পিট্যুইটারি গ্রন্থি, ৩. অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অফ ল্যঙ্গারহ্যানস, ৪. অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি।
উত্তরঃ- অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অফ ল্যঙ্গারহ্যানস।
০২> নিম্নলিখিত গ্রন্থিগুলির ভিতর কোনটি মিশ্র গ্রন্থি?
১. লালাগ্রন্থি, ২. অগ্ন্যাশয়, ৩. যকৃৎ, ৪. পিটুইটারি।
উত্তরঃ- অগ্ন্যাশয়।
০৩> নিম্নলিখিত হরমোনগুলির কোনটি পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়?
১. থাইরক্সিন, ২. ইনসুলিন, ৩. অ্যাডিনালিন, ৪. STH ।
উত্তরঃ- STH ।
০৪> অক্সিন কী?
১. প্রাণী হরমোন, ২. উৎসেচক, ৩. উদ্ভিদ হরমোন, ৪. রেচন পদার্থ।
উত্তরঃ- উদ্ভিদ হরমোন।
০৫> টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরিত হয়-
১. শুক্রাশয় হতে, ২. ডিম্বাশয় হতে, ৩. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি হতে, ৪. থাইরয়েড গ্রন্থি হতে।
উত্তরঃ- শুক্রাশয় হতে।
০৬> অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় না-
১. ইনসুলিন, ২. থাইরক্সিন, ৩. পেপসিন, ৪. অ্যাড্রিনালিন।
উত্তরঃ- পেপসিন।
খ. একটি বাক্যে উত্তরঃ-
০১> GTH-এর সম্পুর্ণ নাম কী?
উত্তরঃ- গোনাডোট্রফিক হরমোন।
০২> ACTH-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
উত্তরঃ- অ্যাড্রিনো কর্টিকোট্রফিক হরমোন।
০৩> TSH-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
উত্তরঃ- থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন।
০৪> STH-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
উত্তরঃ- সোমাটোট্রফিক হরমোন।
০৫> গোনাডোট্রপিক হরমোন কোন গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ- পিটুইটারি গ্রন্থি।
০৬> কোন হরমোন উদ্ভিদের ট্রপিক চলনে সহায়তা করে?
উত্তরঃ- অক্সিন।
০৭> কোন হরমোন বীজহীন ফল উৎপাদনে সাহায্য করে?
উত্তরঃ- জিব্বেরেলিন।
০৮> কোন উদ্ভিদ হরমোন ‘অগ্রমুকুলের প্রাধান্য’-এর জন্য দায়ী?
উত্তরঃ- অক্সিন।
০৯> ইনসুলিন হরমোটি কোন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়?
উত্তরঃ- অগ্ন্যাশয়।
১০> অ্যাড্রিনালিন কোথা থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ- অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ভেতরের মজ্জা বা মেডালা থেকে।
গ. অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ-
০১> ‘আইলেটস অফ ল্যঙ্গারহ্যানস’ থেকে যে হরমোন ক্ষরিত হয় তার নাম উল্লেখ করে উক্ত হরমোনের একটি কাজ লেখো।
উত্তরঃ- ইনসুলিনের উৎসঃ অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত আইলেটস অফ ল্যঙ্গারহ্যানস-এর বিটা কোশ থেকে ইনসুলিন হরমোন ক্ষরিত হয়।
ইনসুলিনের কাজঃ ইনসুলিন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, ষকৃৎ ও পেশীতে গ্লাইকোজেন সঞ্চয়, প্রোটিন সংশ্লেষ ও বৃদ্ধি, প্রোটিন ও স্নেহদ্রব্য বিপাক ইত্যাদি কাজ করে।
০২> উদ্ভিদ ও প্রাণী হরমোনের পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ-
উদ্ভিদ হরমোন | প্রাণী হরমোন |
i) ভাজক কলায় তৈরি হয়। ii) রাসায়নিক প্রকৃতি অম্ল বা ক্ষার। iii) কার্যকারিতা স্থানিক। iv) ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বা সংবহন কলার মাধ্যমে বাহিত হয়। | i) অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতে তৈরি হয়। ii) রাসায়নিক প্রকৃতি প্রোটিন বা স্নেহবস্তু। iii) কার্যকারিতা ব্যাপক। iv) রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে বাহিত হয়। |
০৩> থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন ও থাইরক্সিন কোথা থেকে নিঃসৃত হয়?
উত্তরঃ- থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রভাগ থেকে এবং থাইরক্সিন থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
০৪> কোন হরমোনকে ‘আপদকালীন হরমোন’ বলে এবং কেন? সেটি কোন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়?
উত্তরঃ- অ্যাড্রিনালিন হরমোনকে আপদকালীন হরমোন বলে। কারণ, আপদকালে অর্থাৎ উত্তেজনা, ভয়, ক্রোধ প্রভৃতি মানসিক অবস্থায় এই হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়ে দেহকে অবস্থার উপযোগী করে তোলে। অর্থাৎ হাত পায়ের পেশীতে বাড়তি শক্তি সঞ্চিত হয়, হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়, পাকস্থলীতে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ হ্রাস পায়।
অ্যাড্রিনালিন হরমোন অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ভেতরের মজ্জা বা মেডালা থেকে নিঃসৃত হয়।
ঘ. সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ-
০১> হরমোনের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ- হরমোনের বৈশিষ্ট্য-
i) হরমোন রাসায়নিক প্রকৃতিতে প্রোটিনধর্মী, স্টেরয়েডধর্মী বা অ্যামাইনোধর্মী।
ii) নির্দিষ্ট কোশ, কলা বা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
iii) উৎপত্তিস্থলে কাজ করে না, অন্যত্র বাহিত হয়ে নানারকম শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করে।
iv) খুব অল্প মাত্রায় কাজ করে, কিন্তু এদের ক্রিয়ার কাল দীর্ঘস্থায়ী।
v) কাজ শেষে ধ্বংস হয়ে দেহ থেকে নিঃসৃত হয়।
০২> মানবদেহের ইনসুলিন, থাইরক্সিন ও অ্যাড্রিনালিন হরমোনের নিঃসরণ স্থান লেখো।
উত্তরঃ- ইনসুলিনের নিঃসরণ স্থান- অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত আইলেটস অফ ল্যঙ্গারহ্যানস-এর বিটা কোশ।
থাইরক্সিনের নিঃসরণ স্থান- থাইরয়েড গ্রন্থি।
অ্যাড্রিনালিনের নিঃসরণ স্থান- অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ভেতরের মজ্জা বা মেডালা।
০৩> হরমোনের সঙ্গে উৎসেচকের পার্থক্যগুলি নির্দেশ করো।
হরমোন | উৎসেচক |
i) অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। ii) কাজ শেষে ধ্বংস হয়। iii) উৎপত্তিস্থলে কাজ করে না, অন্যত্র বাহিত হয়ে শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করে। | i) বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। ii) কাজ শেষে অপরিবর্তিত থাকে। iii) সর্বত্র কাজ করে। |
উত্তরঃ-
০৪> অক্সিন হরমোনের একটি উৎস ও তিনটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ- অক্সিনের উৎস- উদ্ভিদের অগ্রস্থ ভাজক কলা ( কান্ড ও মূলের অগ্রভাগ, মুকুলাবরণী, বর্ধনশীল পাতা )।
অক্সিনের কাজ-
i) বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণঃ বর্ধনশীল অঞ্চলের কোশ বিভাজন ঘটিয়ে অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
ii) ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণঃ অক্সিন উদ্ভিদের আলোকবৃত্তি ও অভিকর্ষবৃত্তি চলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
iii) ফলের পরিস্ফুটনঃ নিষেকের পর অক্সিনের প্রভাবে ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়।
০৫> মানবদেহে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের একটি উৎসগত ও দুটি কার্যগত পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ-
ইস্ট্রোজেন | প্রোজেস্টেরন |
i) পরিণত ডিম্বথলি থেকে নিঃসৃত হয়। ii) স্ত্রীদেহের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন ঘটায়। iii) যৌন লক্ষণ প্রকাশে সাহায্য করে। | i) ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হয়। ii) স্ত্রীদেহে গর্ভকালীন পরিবর্তন ঘটায়। iii) ডিম্বাণুর রোপণ, অমরা গঠনে সাহায্য করে। |
০৬> অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিঃ যেসব গ্রন্থির ক্ষরণ গ্রন্থির বাইরে আসে না, গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে রক্তে মিশে যায়, সেইসব গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বা অনাল গ্রন্থি বা এন্ডোক্রিন গ্রন্থি বলে।
উদাহরণঃ পিটুইটারি গ্রন্থি, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি ইত্যাদি।
বহিঃক্ষরা গ্রন্থিঃ যেসব গ্রন্থির ক্ষরণ নালির মাধ্যমে গ্রন্থির বাইরে আসে, তাদের বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বা সনাল গ্রন্থি বা এক্সোক্রিন গ্রন্থি বলে।
উদাহরণঃ লালা গ্রন্থি, আন্ত্রিক গ্রন্থি, পাকগ্রন্থি ইত্যাদি।
০৭> জিব্বেরেলিন, সাইটোকাইনিন ও থাইরক্সিনের একটি করে কাজ উল্লখ করো।
উত্তরঃ- জিব্বেরেলিনের কাজ- বীজের অঙ্কুরোদগম ত্বরান্বিত করে।
সাইটোকাইনিনের কাজ- উদ্ভিদের বার্ধক্য বিলম্বিত করে।
থাইরক্সিনের কাজ- মৌলবিপাকের হার বৃদ্ধি করে।
০৮> অক্সিন ও জিব্বারেলিনের একটি করে উৎসগত এবং দুটি কার্যগত পার্থক্য নির্দেশ করো।
উত্তরঃ-
অক্সিন | জিব্বেরালিন |
i) ভ্রূণমুকুলাবরণী, কান্ড ও মূলের অগ্রভাগ থেকে উৎপন্ন হয়। ii) উদ্ভিদকোশে নিউক্লিয়াস বিভাজন নিয়ন্ত্রণ করে। iii) উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে। | i) পরিপক্ক বীজ, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজপত্র থেকে উৎপন্ন হয়। ii) নিউক্লিয়াস বিভাজনে কোন ভূমিকা নেই। iii) ট্রপিক চলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। |
০৯> মানবদেহে ACTH এর একটি এবং TSH ও STH এর দুটি করে কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ- ACTH-এর কাজঃ অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির কর্টেক্স অঞ্চলের বৃদ্ধি ও হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে।
TSH-এর কাজঃ i) থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে।
ii) দেহের আয়োডিন বিপাক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
STH-এর কাজঃ i) প্রাণীদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায়।
ii) শর্করা, প্রোটিন ও ফ্যাট বিপাকে সহায়তা করে।
১০> হরমোনকে জীবদেহের রাসায়নিক সমন্বয়সাধক বলা হয় কেন?
উত্তরঃ- হরমোন এক প্রকার জৈব রাসায়নিক পদার্থ। জীবদেহের বিভিন্ন কোশ বা গ্রন্থিতে উৎপন্ন হয়ে হরমোন সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণীদেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের সমন্বয় সাধন করে। আবার উদ্ভিদদেহে স্নায়ুতন্ত্র না থাকায় হরমোনই সমন্বয় সাধনের কাজ করে। তাই হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয় সাধক বলে।
১১> মানবদেহে ইনসুলিন ও অ্যাড্রিনালিন হরমোনের দুটি করে কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ- ইনসুলিনের কাজঃ i) রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
ii) ষকৃৎ ও পেশীতে গ্লাইকোজেন সঞ্চয় করে রাখে।
অ্যাড্রিনালিনের কাজঃ i) আপদকালে দেহকে অবস্থার উপযোগী করে ভোলে।
ii) দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করে।
১২> হরমোন কাকে বলে?
উত্তরঃ- জীবদেহে যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ নির্দিষ্ট কোশ বা গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়ে দূরবর্তী কোশগুলির কাজকে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কাজের পরে ধ্বংস হয়ে যায়, তাদের হরমোন বলে।
১৩> কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভিদ হরমোনের চারটি ব্যবহারিক দিক আলোচনা করো।
উত্তরঃ- কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভিদ হরমোনের ব্যবহারিক দিক-
i) বীজহীন ফল উৎপাদনঃ কলা, পেয়ারা, পেঁপে, টমেটো, খেঁজুর, আঙুর প্রভৃতি উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিন হরমোন প্রয়োগ করে পরাগযোগ ও নিষেক ছাড়াই বীজহীন ও আকারে বড়ো ফল উৎপাদন করা সম্ভব। এই পদ্ধতিকে বলা হয় পার্থেনোকার্পি।
ii) আগাছা দমনঃ কৃষিক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় উদ্ভিদ বা আগাছা দমন করার জন্য MCAA, 4-D প্রভৃতি উদ্ভিদ হরমোন ব্যবহার করা হয়।
iii) শাখাকলমে মূল সৃষ্টিঃ গোলাপ, জবা প্রভৃতি ফুলগাছ এবং আম, লেবু, পেয়ারা প্রভৃতি ফলের গাছে শাখাকলম তৈরির সময় NAA, IBA প্রভৃতি কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগ করলে কলমে দ্রুত অস্থানিক মূল সৃষ্টি হয়।
iv) ক্ষত নিরাময়ঃ উদ্ভিদের ডাল কাটার পর কাটাস্থানে রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য অক্সিন হরমোন প্রয়োগ করা হয়।
১৪> জিব্বেরেলিন হরমোনের উৎসস্থল ও যে কোনো দুটি কাজ লেখো।
উত্তরঃ- জিব্বেরেলিনের উৎসঃ উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজ, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজপত্র প্রভৃতি থেকে জিব্বেরেলিন ক্ষরিত হয়।
কাজঃ i) উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধিঃ পাতা, ফুল, ফল, পর্বমধ্য, মুকুল, কোশ প্রভৃতির বৃদ্ধি ঘটায়।
ii) বীজের সুপ্ত অবস্থা কাটাতেঃ সুপ্ত অবস্থা কাটিয়ে বীজকে অঙ্কুরিত করে।
১৫> GTH হরমোনের যে কোনো দুটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ- GTH-এর পুরো নাম গোনাডোট্রফিক হরমোন। এর কাজ হল-
i) ডিম্বাশয়ের ডিম্বথলি এবং শুক্রাশয়ের সেমিনিফেরাস টিউবিউল-এর বৃদ্ধি ঘটিয়ে ডিম্বণু ও শুক্রাণু তৈরিতে সাহায্য করে।
ii) স্ত্রী ও পুরুষের গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশে সাহায্য করে।
১৬> হরমোনকে ‘রাসায়নিক দূত’ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ- হরমোন কোশে কোশে রাসায়নিক বার্তা পাঠায়, তাই একে রাসায়নিক দূত বলে।
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন