০১> নিম্নলিখিতগুলির ভিতর কোনটি উদ্ভিদের নাইট্রোজেনবিহীন রেচন পদার্থ?
i) গঁদ ii) উপক্ষার iii) ইউরিয়া iv) অ্যামোনিয়া
উত্তরঃ- গঁদ।
০২> নিম্নলিখিত কোন রেচন বস্তুটি নাইট্রজেনবিহীন?
i) রেসারপিন ii) ক্যাফিন iii) রেজিন iv) মরফিন
উত্তরঃ- রেজিন।
০৩> নিম্নলিখিত কোন উপক্ষারটি মানুষের রক্তচাপ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়?
i) নিকোটিন ii) রেসারপিন iii) কুইনাইন iv) মরফিন
উত্তরঃ- রেসারপিন।
০৪> নিম্নলিখিত কোনটি প্রাণীর রেচন পদার্থ?
i) ইউরিয়া ii) তরুক্ষীর iii) রজন iv) নিকোটিন
উত্তরঃ- ইউরিয়া।
খ. এক বাক্যে উত্তরঃ-
০১> উদ্ভিজ্জ রেচন পদার্থ হিসাবে নিকোটিনের উৎস কী?
উত্তরঃ- তামাক গাছের পাতা।
০২> মানুষের মুত্রে প্রধান নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থের নাম কী?
উত্তরঃ- ইউরিয়া।
০৩> মানুষের বৃক্কের গঠনগত ও কার্যগত এককের নাম লেখো?
উত্তরঃ- নেফ্রন।
০৪> গ্লোমেরুলাস বেষ্টনকারী নেফ্রনের অংশটির নাম কী?
উত্তরঃ- বাওম্যানস ক্যাপসুল।
০৫> প্রাণীদেহে কোন অঙ্গে গ্লোমেরুলাস থাকে?
উত্তরঃ- বৃক্কের নেফ্রনে।
০৬> রজন উৎপাদনকারী একটি উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তরঃ- পাইন।
০৭> কোন নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থ মানুষের মূত্রে অধিকমাত্রায় থাকে?
উত্তরঃ- ইউরিয়া।
গ. অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নঃ-
০১> রজনের উৎস ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব উল্লখ করো।
উত্তরঃ- রজনের উৎসঃ- পাইন জাতীয় উদ্ভিদের পাতা, কান্ড, শাখা-প্রশাখার রজন নালীতে রজন থাকে।
অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ- i) রজন চাঁচ গালা ও বার্ণিশের কাজে লাগে।
ii) ধূনা পূজায়, ধূপ ও প্রসাধন শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
iii) হিং খাদ্যে ব্যবহৃত হয়।
০২> তরুক্ষীরের উৎস ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব উল্লখ করো।
উত্তরঃ- তরুক্ষীরের উৎসঃ- বট, আকন্দ, কাঁঠাল, পেঁপে, রবার, কলা, তামাক, আফিং প্রভৃতি উদ্ভিদের ক্ষীর কলায় তরুক্ষীর থাকে।
অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ- i) পেঁপে গাছের তরুক্ষীর প্যাপেইন ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
ii) রবার গাছের তরুক্ষীর রবার থেকে টায়ার, টিউব, বল, জুতা প্রভৃতি তৈরি হয়।
০৩> মানব বৃক্কে ম্যালপিজিয়ান করপাসল কোন কোন অংশ নিয়ে গঠিত?
উত্তরঃ- মানব বৃক্কে ম্যালপিজিয়ান করপাসল দুটি অংশ নিয়ে গঠিত, যথা- গ্লোমেরুলাস ও বাওম্যানস ক্যাপসুল।
০৪> মানুষের রেচনে ত্বকের ভূমিকা কী?
উত্তরঃ- মানুষের আনুষঙ্গিক রেচন অঙ্গগুলির মধ্যে একটি ত্বক। ত্বকে অসংখ্য ঘর্মগ্রন্থি আছে। এই ঘর্মগ্রন্থি থেকে জল, ইউরিয়া, ল্যাকটিক অ্যাসিড, সোডিয়াম ক্লোরাইড ও অন্যান্য খনিজ লবণ প্রভৃতি রেচন পদার্থ ঘামের আকারে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়।
০৫> তরুক্ষীর কী? কোন উদ্ভিদে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ- তরুক্ষীরঃ- বর্ণহীন, সাদা বা ঈষৎ হলুদ বর্ণের নাইট্রোজেনবিহীন, কলয়েডধর্মী প্রোটিন গঁদ, রজন ও উপক্ষারের জলীয় মিশ্রণকে তরুক্ষীর বলে।
তরুক্ষীরের উৎসঃ- বট, আকন্দ, কাঁঠাল, পেঁপে, রবার, কলা, তামাক, আফিং প্রভৃতি উদ্ভিদের ক্ষীর কলায় তরুক্ষীর থাকে।
০৬> উদ্ভিদ ও প্রাণীর রেচনের তিনটি পার্থক্য লেখো।
উদ্ভিদের রেচন | প্রাণীর রেচন |
i) নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ বা তন্ত্র নেই। ii) অতি অল্প পরিমাণে রেচন পদার্থ উৎপন্ন হয়। iii) রেচন পদার্থ দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। | i) নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ বা তন্ত্র আছে। ii) বেশি পরিমাণে রেচন পদার্থ উৎপন্ন হয়। iii) রেচন পদার্থ দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক। |
০৭> উদ্ভিদের রেচনপদ্ধতি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ- উদ্ভিদের নির্দিষ্ট কোন রেচন অঙ্গ নেই। বিপাক ক্রিয়ায় উৎপন্ন রেচন পদার্থগুলি উদ্ভিদ কয়েকটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় ত্যাগ করে। যথা-
i) পত্রমোচনঃ- শিমূল, আমড়া প্রভৃতি পর্ণমোচী উদ্ভিদ বছরের একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে এবং আম, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি চিরহরিৎ উদ্ভিদ সারা বছর ধরে পত্রমোচনের মাধ্যমে পত্রে সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।
ii) বাকল ত্যাগঃ- অর্জুন, পেয়ারা, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি উদ্ভিদ বাকল ত্যাগের মাধ্যমে বাকলে সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।
iii) ফলমোচনঃ- কোন কোন উদ্ভিদের ফলে রেচন পদার্থ সঞ্চিত থাকে। ফলমোচনের মাধ্যমে এইসব রেচন পদার্থ পরিত্যাক্ত হয়। যেমন- তেঁতুলে টারটারিক অ্যাসিড, লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
০৮> মানুষের রেচনে যকূৎ ও ফুসফুসের ভূমিকা কী?
উত্তরঃ- যকৃৎঃ- মানুষের আনুষঙ্গিক রেচন অঙ্গগুলির মধ্যে যকৃতের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যকৃতে ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ক্রিয়াটিনিন প্রভৃতি নাইট্রোজেন ঘটিত রেচন পদার্থ উৎপন্ন হয়। এগুলি রক্তের মাধ্যমে বৃক্কে পৌঁছায়।তাছাড়া যকৃৎ পুরানো লোহিত কণিকার হিমোগ্লোবিনের বিশ্লেষণ ঘটিয়ে বিলুরুবিন ও চিলিভার্ডিন উৎপন্ন করে যা পিত্ত লবণ ও কিছু অজৈব পদার্থসহ পিত্তরসের মাধ্যমে অন্ত্রে পৌঁছায়।অন্ত্রে এগুলির কিছু অংশ শোষিত হয় এবং বাকী অংশ মলের সঙ্গে দেহের বাইরে পরিত্যাক্ত হয়।
ফুসফুসঃ- ফুসফুসও মানুষের একটি আনুষঙ্গিক রেচন অঙ্গ। এর মাধ্যমে শ্বসনে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জলীয়বাষ্প দেহের বাইরে পরিত্যাক্ত হয়।
০৯> মানবদেহে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ বৃক্কের মাধ্যমে কীভাবে রেচিত হয়?
উত্তরঃ- কোষের বিপাকক্রিয়ায় উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপর উৎসেচকের ক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয় যা যকৃতে এসে ইউরিয়ায় পরিণত হয়। এই ইউরিয়া এবং অন্যান্য রেচন পদার্থ রক্তের মাধ্যমে গ্লোমেরুলাসে পৌঁছায়। এখানে পরিস্রাবণ ঘটার পর বাওম্যানস ক্যাপসুলে কিছু উপাদানযুক্ত হয়ে বৃক্কীয় নালিকায় প্রবেশ করে।বৃক্কীয় নালিকার প্রথম অংশ এই তরল থেকে দেহের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি পুনঃশোষণ করে। অবশিষ্ট অংশটিই মূত্র- মানব রেচন পদার্থ। মূত্র পেলভিস থেকে গবিনীর মাধ্যমে মূত্রস্থলীতে পৌছায়।
১০> নেফ্রন কী? রেচন পদার্থ কাকে বলে? মুত্রে উপস্থিত ইউরিয়া কোথায় উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ- নেফ্রনঃ- নেফ্রন হল বৃক্কের গঠনগত ও কার্যগত একক।
রেচন পদার্থঃ- কোষীয় অপচিতি বিপাকক্রিয়ায় উৎপন্ন অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক পদার্থগুলিকে রেচন পদার্থ বলে।
ইউরিয়ার উৎসঃ- মূত্রে উপস্থিত ইউরিয়া যকৃতে উৎপন্ন হয়।
ঘ. অঙ্কনধর্মী প্রশ্নঃ-
০১> একটি নেফ্রনের পরিচ্ছন্ন ও বিজ্ঞানসম্মত চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলির চিহ্নিত করোঃ-
বাওম্যানস ক্যাপসিউল, গ্লোমেরুলাস, নিকটবর্তী সংবর্ত নালিকা, দূরবর্তী সংবর্ত নালিকা, হেনলির লুপ, সংগ্রাহী নালিকা, অন্তর্বাহী ধমনিকা।
উত্তরঃ- বইয়ে যে চিত্র আছে তা দেখে বার বার Practice করতে হবে।
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন