অবসরপ্রাপ্ত? বেকার? পাড়াশুনা বন্ধ অথবা অপর্যাপ্ত আয়? আপনার নিজের ইন্টারনেট ব্যবসা শুরু করুন ঘরে বসেই। আপনার স্বপ্ন পূরণের এবং মহৎ উদ্দেশ্যসাধনের জন্য গৃহভিত্তিক আয় করে প্রকৃত সম্পদ গড়ে তুলুন। এই কাজ প্রকৃতই “WORLD WIDE INCOME SYSTEM”! এর জন্য প্রয়োজন শুধু আপআপনাকে, আপনার মনোযোগ, ধৈর্য্য, যত্ন, বুদ্ধি ও কুশলতাকে - সমস্ত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা, ওয়েবসাইট এবং পণ্য বিনামূল্যে উপলব্ধ! শূন্য শতাংশ ঝুঁকি, তবে ভাবছেন কেন? কোনো ফিস দিতে হবে না অথবা কোনো ব্যয় করতে হবে না; কোনো সময়সীমা নেই। আজই নথিভুক্ত হোন, আর এর জন্য- ক্লিক করুন এখানে

১৪ জানুয়ারী, ২০১২

Blogger Settings (Rest)


গত পর্বে আমরা সেটিং-এর অন্তর্গত তিনটি অপশানের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। আজ আমরা বাকীগুলোর সাথে পরিচিত হব। এগুলো হল-


Comments
Archiving
Site Feed
Email & Mobile
OpenID
Permission
COMMENTS:
Who Can Comments: আপনার ব্লগে ভিজিটরদের করা মন্তব্যগুলি ব্লগে প্রদর্শন করতে চান নাকি হাইড করে রাখতে চান তা এই অপশানের মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারেন। এখানে মোট চারটি অপশান দেখতে পাবেন। আপনার ব্লগে কারা মন্তব্য করতে পারবেন সেটি এগুলোর মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারেন। এগুলো হলঃ
    Anyone - includes Anonymous Users: রেজিস্ট্রেশানবিহীন যে কাউকে মন্তব্য করার অনুমতি দেয়ার জন্য এটিতে ক্লিক করতে পারেন। তখন কমেন্টকারী জিমেইল, Live Journal, Wordpress, টাইপপ্যাড, AIM, OpenID ছাড়াও নাম বা নামবিহীনভাবে যেকোন URL ব্যবহার করে মন্তব্য করতে পারবেন।
    Registered Users - includes OpenID: এই অপশানটি সিলেক্ট করে দিলে আপনার ব্লগে শুধুমাত্র জিমেইল, Live Journal, WordPress, টাইপপ্যাড, AIM, OpenID-এর রেজিস্টার্ডরা ব্লগে মন্তব্য করতে পারবেন। ওপেনআইডি-এর ব্যাপার নিচে পরে আলোচনা করব।
    Users with Google Accounts: শুধুমাত্র জিমেল ব্যবহারকারীদের মন্তব্য করার সুবিধা দিতে চাইলে এই অপশানের সাহায্যে তা ঠিক করে দিতে পারেন।
    Only members of this blog: এটি নির্বাচন করলে শুধুমাত্র আপনার ব্লগের রেজিস্টার্ড ব্লগাররা আপনার ব্লগে মন্তব্য করতে পারবে।
Comment Form Placement: আপনার ব্লগে মন্তব্য করার জন্য নির্ধারিত বক্সটি কি আকারে দেখতে চান সেটি এই অপশানের মাধ্যামে ঠিক করে দিতে পারেন। যদি পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে মন্তব্যবক্সটি প্রদর্শন করতে চান তাহলে Full Page সিলেক্ট করুন। যদি মন্তব্যবক্সটি পপ-আপ উইন্ডো আকারে দেখাতে চান তাহলে Pop-up window সিলেক্ট করুন আর যদি টেকটিউন্স-এর মতো পোস্টের নিচে প্রদর্শিত করতে চান তাহলে Embedded below post টি সিলেক্ট করুন।
Comments Default for Posts: নতুন পোস্টগুলি মন্তব্য গ্রহন করতে চান নাকি চান না সেটি এই অপশানের মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারেন। নতুন পোস্টগুলি নির্ধারণ হবে আপনার আর্চিভ-এর ধরন অনুযায়ী।
Backlinks: আপনার পোস্টের মন্তব্যে করা ব্যাকলিঙ্কগুলি প্রদর্শন করতে চান নাকি হাইড করে রাখতে চান তা এই অপশানের মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারবেন। আমার মতে এটি প্রদর্শন করাই ভাল। এতে ব্লগের ভিজিটর সংখ্যা বাড়ে।
Backlinks Default for Posts: নতুন পোস্টগুলির মন্তব্যে ব্যাকলিঙ্ক প্রদর্শন করতে বা হাইড করতে এই অপশানের সাহায্য নিন।
Comments Timestamp Format: মন্তব্যে প্রদর্শিত সময়সূচীর স্টাইল আপনার পছন্দমত এই অপশানের মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারেন।
Comment Form Message: এখানে দেয়া বক্সটিতে আপনি মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করার গাইডলাইন বা আপনার পছন্দানুযায়ী যেকোন কিছু লিখে দিতে পারেন যা মন্তব্য করার বক্স-এর উপরে প্রদর্শিত হবে।
Comment moderation: আপনি যদি আপনার ব্লগে করা মন্তব্যগুলি মডারেট করতে চান তাহলে এই অপশানের মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিচে Email address-এর ঘরে যে মেইল এড্রেস দিবেন সেটিতে আপনার ব্লগে করা মন্তব্যগুলি পৌছে যাবে এবং সেখান থেকে আপনি মন্তব্যগুলি নির্বাচন করতে পারবেন। যদি সবসময় মন্তব্য মডারেশান করতে চান তাহলে Always নির্বাচন করুন। যদি শুধুমাত্র আপনার দেয়া নির্দিষ্ট দিনের আগের পোস্টগুলি মডারেশান করতে চান তাহলে পরের অপশানটি নির্বাচন করুন। আর কোনো মডারেশান করতে না চাইলে শেষের Never টি নির্বাচন করুন।
Show word verification for comments: আপনার ব্লগের মন্তব্য করার সময় ওয়ার্ড ভেরিফিকেশান বা ক্যাপচা এনাবল করতে চান নাকি চান না তা এই অপশানের মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারেন। সাইটের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এবং স্প্যাম মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে এটি এনাবল করে দিন।
Show profile images on comments: মন্তব্যকারীর প্রোফাইল পিকচার প্রদর্শন করতে চাইলে Yes আর না চাইলে No নির্বাচন করুন।
Comment Notification Email: এখানে দেয়া বক্সে যে ইমেল ঠিকানা দিবেন সেটিতে আপনার ব্লগে করা মন্তব্য এর নোটিফিকেশান চলে যাবে। না দিতে চাইলে খালি রাখুন।
এবার SAVE SETTINGS এ ক্লিক করুন।

Archiving: এই অপশানের মোট দুটি সেটিংস দেখতে পাবেন।


প্রথমটি হল Archive Frequency অর্থাৎ আপনার পোস্টগুলির আর্চিভ ভান্ডার সপ্তাহিক না মাসিক হিসেবে সাজাতে চান সেটি ঠিক করে দেয়া। আর্চিভ না রাখতে চাইলে No Archive নির্বাচন করুন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে Enable Post Pages এটি Yes করে দিন। এটি No করে দিলে আপনার প্রতিটি পোস্ট আলাদা ইউনিক পৃষ্ঠায় খুলবে না বরং একই পৃষ্ঠায় অর্থাৎ প্রথম পৃষ্ঠায় খুলবে । এটি NO করে দিলে উপরে Comment Form Placement এ বর্ণিত Embedded below post টি কার্যকর হবে না।

Site Feed: এখানে প্রথমেই দেখতে পাবেন Switch to: Advanced Mode অপশান। যারা ব্লগারে অভিজ্ঞ এটি তাদের জন্য প্রযোজ্য।


এর পরেরটি হচ্ছে Allow Blog Feeds এটি FULL করে দিন অর্থাৎ এখন আপনার ব্লগের সমস্ত কন্টেন্ট ব্লগসার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া যাবে। যদি Short  করে দেন তাহলে প্রথম ৪০০ শব্দ ইনডেক্স করা হবে। এছাড়া Until Jump Break ব্যবহার করলে যতটুকু পর্যন্ত এই ট্যাগ ব্যবহার করেছেন ততটুকুর কন্টেন্ট সার্চিইঞ্জিনে পাওয়া যাবে। None করে দিলে কোনো কিছুই ইনডেক্স হবে না। এর পরেরটি Post Feed Redirect URL টির জন্য Feed burner এর ফিড বার্ন করে তার URL দরকার হবে। এটি আপাতত খালি রেখে দেন পরবর্তীতে ফিড বার্নারে ফিড বার্ন করে কিভাবে বিস্তারিত আলোচনা করব। সর্বশেষটি Post Feed Footer। এটি খালি রেখে দিন। ব্লগারে,এডসেন্সে আরো এক্সপার্ট হলে এটি আপনি নিজেই বুজবেন।

Email & Mobile: এখানে অন্তর্গত দুটি সেটিংস-এর প্রথমটি হল Email Notification এখানে দেয়া BlogSend Address বক্সটির মধ্যে সর্বোচ্চ ১০টি ইমেল ঠিকানা সেভ করে রাখতে পারেন যেগুলোতে নতুন পোস্ট পাবলিশ হওয়া মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিফিকেশান পৌছে যাবে। ১০টি ঠিকানা একত্রে লিখতে পাশাপাশি কমা চিহ্ন (,) ব্যবহার করুন।


পরেরটি হল Posting Option । এটির দেয়া দুটি অপশানের Email Posting Address  Mobile Devices মাধ্যমে আপনি ব্লগারে লগিন না করে ইমেল পাঠিয়ে বা মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগে পোস্টিং করতে পারেন। ইমেল করে পাঠানোর জন্য আপনাকে ব্লগারের মেইল এড্রেস এবং আপনার গোপন অক্ষর মিলিয়ে একটি মেইল তৈরি করতে হবে এবং সেটিতে পাঠাতে হবে। পাঠানো মেইল পোস্ট পাওয়া মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকাশ করা (Publish emails immediately) বা ড্রাফট (Save emails as draft posts) হিসেবে সংরক্ষণ করা এই অপশানের মাধ্যমে ঠিক করে দিতে পারেন। মোবাইল এর মাধ্যমে কিভাবে পোস্ট পাঠানো যায় তা আপনারা অভিজ্ঞ হয়ে উঠলে বুঝতে পারবেন।
OpenID: এটি হল মুলত একটি গ্লোবাল রিকোগ্নাইজ আইডি। অর্থাৎ ওপেন আইডি ব্যবহারকারীরা ওপেন আইডি সাপোর্ট করে এমন সাইটগুলি একই নাম বা একই ইমেল দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারে। এটা অনেকটা গ্রাভাটার-এর মতো। আপনি OpenID তে যে মেইল এড্রেস বা ব্যাক্তিগত তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করবেন সেই একই তথ্য কোনো OpenID সাপোর্টেড সাইটে ওই ইমেইল দিয়ে লগিন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার তথ্যগুলি নিয়ে নিবে অর্থাৎ আপনাকে কোনো প্রোফাইল তৈরি করতে হবে না। যেমন আপনার ব্লগার আইডিটিও OpenID । কোনো OpenID  এনাবল সাইটে রেজিস্ট্রেশান করার সময় এই URL ব্যবহার করলে আপনার ব্লগার প্রোফাইলের তথ্যগুলি ওই সাইটে শেয়ার করতে পারবেন।
Permission: আপনার ব্লগে আরো লেখক যোগ করতে Blog Author-এর জায়গায় ADD AUTHORS-এ ক্লিক করে লেখকদের ইমেইল করে আমন্ত্রন জানাতে পারেন। একের বেশীকে পাঠাতে চাইলে পাশাপাশি কমা চিহ্ন (,) ব্যবহার করুন।


এছাড়া আপনার ব্লগের পাঠক ঠিক করে দিতে পারেন Blog Reader অপশানের সাহায্যে। যে কাউকে দেখাতে Anybody এবং আপনার পছন্দকৃত পাঠককে দেখাতে Only People I choose-এ ক্লিক করুন। শুধুমাত্র ব্লগের লেখকদের জন্য প্রদর্শন করতে চাইলে Only Blog Author ক্লিক করুন।

লেখক সম্পর্কে

নতুন এবং অনভিজ্ঞ ব্লগারদের জন্য ব্লগ ডিজাইন এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখা শুরু করলাম। পরবর্তীতে ইন্টারনেট, পড়াশুনা, সি.এস.এস., এম.এস.অফিস, অনলাইন আয়, ওয়েব হোস্টিং ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। সঙ্গে থাকুন, পরামর্শ দিন, মন্তব্য করুন।

0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

home